বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণ গাইবান্ধা পৌরসভার নগর মাতৃসদন কেন্দ্রের ভার্চুয়াল উদ্বোধন সুন্দরগঞ্জ সরকারি কলেজে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের উদ্বোধন সাঘাটায় অবৈধ বালু উত্তোলন : প্রশাসনের অভিযানে ব্যবসায়ীর ৫ লাখ টাকা জরিমানা গোবিন্দগঞ্জে (অব.) সশস্ত্র বাহিনী ঐক্য পরিষদের মতবিনিময় ফুলছড়িতে কিন্ডারগার্টেনে সহপাঠীদের হাতে শিক্ষার্থী নিগ্রহের অভিযোগ ঘাঘট নদীতে শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার সাদুল্লাপুরে বেগুন ক্ষেতে মোজাইক ভাইরাস: দুশ্চিন্তায় কৃষক কামারপাড়া কলেজে একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ক্লাস গাইবান্ধা সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন ক্লাস

সুন্দরগঞ্জে কমলা চাষে বাজিমাত কৃষক মলয়ের

সুন্দরগঞ্জে কমলা চাষে বাজিমাত কৃষক মলয়ের

স্টাফ রিপোর্টারঃ সেই ২০১০ সালের দিকে আড়াই বিঘা জমিতে শুধু গোলাপের চাষ করেছিলেন মলয় কুমার লিটন। করোনার সময়ে ফুল বিক্রি না হওয়ায় মাথায় যেন বাজ পড়েছিল তার। ক্ষতি এড়াতে পরে বন্ধুর পরামর্শে ২০১৯ সালে লাগিয়েছিলেন শতাধিক চায়না ও দার্জিলিং কমলা চারা। সেই কমলায় বাজিমাত করেছেন তিনি। ফলিয়েছেন ৩০ মণের বেশি মিষ্টি কমলা। ফ্রি খাইয়েছেন দর্শনার্থীদের আর বিক্রিও করেছেন আড়াই লাখ টাকা।
ওই কৃষকের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের প্রত্যন্ত গ্রাম পূর্ব ছাপড়হাটিতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দক্ষিণ পাশে সারি সারি লাগানো গাছে পাকা টসটসে কমলা ঝুলছে। সেই কমলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ছোট-বড় অনেকেই। দেখছেন বাগান ঘুরে ঘুরে। কেউ বা ফ্রি টেস্ট করছেন, আবার কেউ বা দুশ টাকা কেজি দরে কিনছেন ওই কমলা।
দর্শনার্থীরা বলছেন, তারা আগে কমলা খেয়েছেন বটে। কিন্তু একেবারে নাকের ডগায় এভাবে চায়না ও দার্জিলিং কমলার চাষ কখনো দেখেননি। তার ওপর মানও খানিকটা ভালো হওয়ায় বিমোহিত দর্শনার্থীরা।
স্থানীয় অধিবাসী মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, মলয়ের কমলা ও ফুলের বাগান দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেলে-মেয়েরা আসে। মলয়ের মতো আরও অনেকেই যদি এমন বাগান করে, তবে এলাকার মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
এ ছাড়ায়ও ফলনে ঘাটতি হয় না বলে কমলা গাছের নিচে দুই হাজার ব্যাগে চাষ করেছেন আদা। ফুল ও ফলের জমিতে সমন্বিত আদার ফলনও যে বাম্পার হতে পারে সেটাই ঘুরে দেখা যায় মলয়ের বাগানে। তার আশা ফলন হতে পারে কমপক্ষে ২ হাজার কেজি। এতে হাতে আসবে তার অন্তত ২ লাখ টাকা।
পশ্চিম ধারে গোলাপের বাগানে ফোটে হরেক রঙের দেশি, বিদেশি ও হাইব্রিড গোলাপ। সে গোলাপ যায় শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকানে। আর এই গোলাপ বিক্রিতেই আসে অন্তত দেড় লাখ টাকা।
করোনার সময় গোলাপ চাষে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যশোরের এক বন্ধুর পরামর্শে কমলার বাগান করেছেন বলে জানিয়েছেন সফল কৃষক মলয় কুমার লিটন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে শতাধিক চারা লাগিয়েছি।

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com